1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বড়লেখায় সেচ মেশিনে বিল শুকিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ, নির্বাক প্রশাসন

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২২
  • ৩৪২ বার পঠিত

বড়লেখা প্রতিনিধি :: বড়লেখার বড়জালাই (বদ্ধ) জলমহালের ইজারাদার মৎস্যজীবি সমিতি মাছ ধরতে গত এক সপ্তাহ ধরে অবৈধভাবে সেচযন্ত্রে বিল শুকাচ্ছে। অসাধুরা ইতিমধ্যে বিলের প্রায় অর্ধেক শুকিয়ে ফেলেছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ইউএনও, সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও মৎস্য কর্মকর্তাকে অবহিত ও লিখিত অভিযোগ দিলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান লোক দেখানো অভিযানে গিয়ে সেচযন্ত্র বন্ধ করেই দায় সারেন। অবৈধভাবে বসানো সেচ পাম্পগুলো আটক কিংবা অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ কোন ব্যবস্থা নেননি। ফলে বন্ধ করার প্রায় দেড় ঘন্টা পর থেকেই অসাধুরা পুনরায় মেশিন চালু করেছে। এতে এলাকায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়থল গ্রামের প্রায় ৩ হাজার বাসিন্দার দৈনন্দিন কাজের পানির উৎস হচ্ছে ২০ একর আয়তনের সরকারি বড়জালাই (বদ্ধ) জলমহাল। এ জলমহালটি গ্রামবাংলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ইজারা নিয়েছে। শুকিয়ে মাছ ধরার কোন নিয়ম না থাকলেও ইজারাদার সমিতির লোকজন প্রায় এক সম্পাহ ধরে ৪টি মেশিনে বিলের পানি সেচ করছে। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরায় একদিকে মাছের বংশ বিলুপ্তির আশংকা অন্যদিকে গ্রামের লোকজন পানির জন্য মারাত্মক দুর্ভোগে পড়বেন। জলাশয়টি শুকিয়ে ফেললে গ্রামের অগভীর নলকুপ পানিশূন্য হয়ে পড়ারও আশংকা রয়েছে।

অভিযোগকারী হোসাইন আহমদ রুবেল, বেলাল আহমদ, সুনাম উদ্দিন প্রমুখ জানান, শেখ তাজ উদ্দিন নামক স্থানীয় অসাধু ব্যক্তি গ্রামবাংলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে এ জলমহালটি ইজারা নিয়েছে। জলমহাল ইজারা ও মৎস্য আইনের তোয়াক্কা না করে সে বিল শুকিয়ে মাছ ধরছে। প্রকৃতপক্ষে সে কোন মৎস্যজীবি নহে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, জলমহাল সেচযন্ত্রে পানি সেচ দেয়ার নিয়ম নেই, এটি সম্পুর্ণ অবৈধ। অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জলাশয়ে তিনটি মেশিনে পানি সেচ চলতে দেখেন। তিনি তা বন্ধ করে দিয়েছেন। এব্যাপারে ইজারাদার সমিতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..